প্রবাসের কথা

গ্রিস যেতে কত টাকা লাগে ২০২৫

গ্রিস যেতে কত টাকা লাগে

গ্রিস যেতে কত টাকা লাগে বিস্তারিত জেনে নিন।  গ্রিস ইউরোপ মহাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব অংশে অবস্থিত একটি জনপ্রিয় দেশ। এই দেশটি তার সমৃদ্ধ সংস্কৃতি, ঐতিহাসিক স্থাপনা এবং উন্নত জীবনযাত্রার মানের জন্য পরিচিত। অনেক বাংলাদেশি নাগরিক উন্নত ভবিষ্যতের আশায় গ্রিসে যেতে চান। তবে গ্রিসে যাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কিছু খরচ রয়েছে, যা মূলত ভিসার ধরন, এয়ার টিকিট, আবাসন, মেডিকেল পরীক্ষা ও অন্যান্য খরচের উপর নির্ভর করে। ২০২৫ সালে গ্রিসে যেতে সর্বনিম্ন ৫-৬ লাখ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১০-১২ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।

বাংলাদেশ থেকে গ্রিস যেতে কত টাকা লাগে

বাংলাদেশ থেকে গ্রিসে যেতে খরচ নির্ভর করে কী ধরণের ভিসার জন্য আবেদন করা হচ্ছে তার উপর। সাধারণত, সরকারি উপায়ে গ্রিসে যেতে খরচ কম হয়, যেখানে বেসরকারি এজেন্সির মাধ্যমে গেলে খরচ কিছুটা বেশি হতে পারে। সরকারিভাবে বাংলাদেশ থেকে গ্রিসে যেতে সর্বনিম্ন ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা লাগে। তবে বেসরকারিভাবে বা এজেন্সির মাধ্যমে গেলে এই খরচ বেড়ে ৮ থেকে ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এর মধ্যে ভিসা ফি, মেডিকেল পরীক্ষা, বিমান ভাড়া, দালালি খরচ এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ অন্তর্ভুক্ত থাকে। কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে, বিশেষত ওয়ার্ক পারমিট বা কোম্পানি স্পন্সর ভিসার জন্য এই খরচ আরও বাড়তে পারে।

গ্রিস যেতে কত টাকা লাগে

গ্রিসের ভিসার দাম কত ২০২৫

২০২৫ সালে গ্রিসের ভিসার দাম নির্ভর করবে ভিসার ধরন ও আবেদন পদ্ধতির উপর। টুরিস্ট ভিসার জন্য সাধারণত ৪-৬ লাখ টাকা খরচ হয়, যেখানে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য ৪-৫ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। ওয়ার্ক পারমিট বা কোম্পানি ভিসার জন্য ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা খরচ হতে পারে। এছাড়া কিছু বিশেষ ক্যাটাগরির ভিসা যেমন কৃষি ভিসা বা সিজনাল ভিসার খরচ ৭-৯ লাখ টাকার মধ্যে হতে পারে। সরকারি উপায়ে ভিসা পেলে খরচ কম পড়বে, তবে বেসরকারি এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা সংগ্রহ করলে খরচ তুলনামূলক বেশি পড়তে পারে।

গ্রিস ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৫

ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে বাংলাদেশি নাগরিকরা গ্রিসে বৈধভাবে কাজ করার সুযোগ পান। ২০২৫ সালে গ্রিসে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য খরচ গড়ে ৮-১০ লাখ টাকা হতে পারে। নির্দিষ্ট কিছু ক্যাটাগরির ওয়ার্ক পারমিটের জন্য এই খরচ ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। গ্রিসের বিভিন্ন খাতে যেমন কৃষিকাজ, নির্মাণ শিল্প, রেস্টুরেন্ট, হোটেল ব্যবসা এবং গার্মেন্টস খাতে বাংলাদেশিদের জন্য কাজের সুযোগ রয়েছে। ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে আবেদনকারীর শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, মেডিকেল পরীক্ষার রিপোর্ট এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা দিতে হবে।

শেষ কথা

গ্রিসে যেতে কত টাকা লাগে তা নির্ভর করে কোন ভিসায় আবেদন করা হচ্ছে, সরকারি নাকি বেসরকারি উপায়ে ভিসা নেওয়া হচ্ছে এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচের উপর। সরকারিভাবে গেলে খরচ কিছুটা কম হয়, তবে বেসরকারি এজেন্সির মাধ্যমে গেলে খরচ তুলনামূলক বেশি হয়। সঠিক তথ্য ও বিশ্বস্ত সূত্র থেকে পরামর্শ নিয়ে ভিসার জন্য আবেদন করা উচিত। যারা কম খরচে গ্রিসে যেতে চান, তারা সরকারিভাবে যাওয়ার চেষ্টা করুন এবং ভিসা প্রসেসিংয়ের প্রতিটি ধাপ সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *